আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটের একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরীর মালামাল চুরি করতে দেখে ফেলায় মজিবর রহমান (৬৫) নামের এক দারোয়ানকে পিটিয়ে গুরত্বর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
বর্তমানে দারোয়ান মজিবর রহমান লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে গুরত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (১৬ মে) সন্ধ্যার পর লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টীবাড়ীতে অবস্থিত বিসিক শিল্প নগরীর মেসার্স ভাই ভাই প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী এন্ড ইন্ডাস্ট্রিতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দারোযান মজিবর রহমান জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টীবাড়ী ইউনিয়নের খাতাপাড়া মাজার এলাকার মৃত দেওয়ান আলীর পুত্র।
আহত দারোয়ান মজিবর রহমান হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি ফ্যাক্টরীর পাশেই একটি চায়ের দোকানে চা খেতে গিয়েছিলাম। ৫মিনিটের মধ্যেই তিনি তার কর্মস্থল প্লাস্টিক ফ্যাক্টরীতে চলে আসেন। এসে দেখেন ফ্যাক্টরীর পাশের বাড়ির খায়রন নামের এক মহিলা তার স্বামী ঝেলটা, ছেলে আশরাফুল ও তার দুই মেয়েসহ ফ্যাক্টরীতে তৈরী প্লাস্টিকের বদনা ও সুতা নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় সে চোর চোর বলে চিৎকার দিলে তারা সবাই এসে তাদের হাতে থাকা লাঠি ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। তাদের বেধরক পিটুনিতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের হাতে থাকা রড দিয়ে তার মুখে আঘাত করলে তার একটি দাঁত পড়ে যায়।
দারোয়ান মজিবর রহমান আরও বলেন, এর আগেও খায়রন ও তার স্বামী ফ্যাক্টরীর অনেক মালামাল চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। এ জন্য ফ্যাক্টরীর মালিক তার বেতন কর্তন করেছে। কিছুদিন আগেও তারা আবারও মালামাল চুরি করতে এসেছিল। সেদিন তারা আমাকে দেখে ফেলায় তারা পালিয়ে যায় এবং আমাকে হুমকি দিয়ে বলে যায় সুযোগ পেলে তোকে ওপাড়ে পাঠিয়ে দিবো ব্যাটা। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মেসার্স ভাই ভাই প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী এন্ড ইন্ডাস্ট্রির মালিক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনা শোনার পর পরই তিনি তার ফ্যাক্টরীতে চলে আসেন এবং দেখেন তার ফ্যাক্টরীর অনেক মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এ সময় হঠাৎ করে সেই খায়রন নামের সেই মহিলা সেখানে এসে তাকে বলে এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ করলে তাকে ধর্ষন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হবে। ওই মহিলার এমন কথায় তিনি উপস্থিত লোকজনদের বলেন, দেখেন এই মহিলা (খায়রন) আমার ফ্যাক্টরীর ক্ষতি করে আবার তাকেই হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, যেহেতু বিসিক শিল্প নগরীর আরও অনেক বিভিন্ন শিল্প কল কারখানার মালিক আছেন তাই তিনি তাদের সাথে পরামর্শ করেই থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোক্তারুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোন অভিযোগ থানায় আসেনী। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।